মেলান্দহ প্রতিনিধি ।।
জেলার মেলান্দহে বসত বাড়ি জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের বংশী বেলতৈল গ্রামের জয়েন উদ্দিন মোড়ে।
জানা গেছে, ২০১২ সালে ইসমাইল মন্ডল জীবিত থাকাবস্থায় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে জয়েন উদ্দিন মোড়ের ২০ শতাংশ জমি তাঁর ৬ ছেলেকে বন্টন শেষে সীমানা নির্ধারণ করে দেন। ইসমাইল মন্ডলের ৬ ছেলেদের ন্যায় মাহবুবু হোসেন (৩৫)’র অংশে ২২ হাত চৌচালা টিনের ঘর তোলে বসবাস করেন। মাহবুব হোসেন জীবিকার তাগিদে ঢাকায় চলে যান। এই সুবাদে মাহবুব হোসেনের বড় ভাই মুনায়েম হোসেন মুকুল (৫০) ও তাঁর স্ত্রী ফরিদা ইয়াস মিন (৪২) মাহবুব হোসেনের বাড়ি-ঘর জবর দখলে নেয়।
এ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ এলাকাবাসি কয়েক দফা দেন দরবারও করেছেন। ইতোমধ্যেই মুনায়েমের স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিনের হাবাগোবা ছেলে ফাইম উদ্দিন (১৭)’র হাতে দা-বটি তুলে দিয়ে মাহবুব ও তাঁর পরিবারকে ভয়-ভীতিসহ প্রাণ নাশের হুমকি প্রদর্শন করছে। হাবাগোবা ছেলে ফাইম উদ্দিন দা-বটি হাতে নিয়ে প্রায়ই মাহবুব ও তাঁর পরিবারকে খোঁজাখুঁজি করছে। এতেই শেষনয়, মাহবুবের মেয়ে মাহমুদা আক্তার মায়া (১৪)কে স্কুলে যাতায়াতের পথে কয়েকদফা দা- ছুড়েছে। বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষসহ এলাকাবাসিকেও জানানো হয়েছে। এরপরও, ফরিদা ইয়াসমিন মাহবুবের বিরুদ্ধে কয়েকটি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগে প্রকাশ।
বর্তমানে মাহবুব হোসেন ও তাঁর পরিবার নিরাপত্ত্বাহীনে ভোগছেন। ফরিদা ইয়াসমিনের ভয়ে অন্যত্র বাস করছেন। এরপরও মাহবুবের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনসহ নাটকীয় ঘটনার ইস্যু সৃষ্টির মাধ্যমে মামলা দায়েরের হুমকী দিচ্ছে। এ বিষয়ে মাহবুব হোসেন ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার জানিয়েছেন। ক্রমেই পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ১৮ এপ্রিল মাহবুব ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্ত্বা চেয়ে মেলান্দহ থানায় সাধারণ ডায়েরি (নং-৭২৬) করেছেন। ফরিদা ইয়াসমিন জানান-আমার স্বামী আমার নামে জমি লিখে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান, মুকুলের মাতা মেহেরুন্নেছাসহ এলাকাবাসি জানানা-ফরিদা একজন মামলা বাজ। প্রায়ই মাহবুবের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেন। মাহবুবকে হুমকির ঘটনা সত্য। মুকুলের পিতা জীবিত থাকাবস্থায় ৬ ছেলেকে সমান করে জমি বন্টন ও সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। মাহবুবের বসতবাড়িও জবর দখল করেছেন।
3/related/default