বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি ।।
জামালপুরের বকশীগঞ্জ ও সদর উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় আমেনা বেগম (৫০) নামের এক নারী নিহত এবং ছানি ইসলাম ও পিয়াল ইসলাম নামের দুই শিশু গুরুতর আহত হয়েছে। ১৪ এপ্রিল সকালের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ১৪ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের খেওয়ারচর গ্রামের নূর আলমের স্ত্রী আমেনা বেগম হেটে পাশের গ্রাম ঝালুরচরে যাচ্ছিলেন। পথে মাদারেরচর গ্রাম থেকে আসা বালুভর্তি একটি ট্রলি গাড়ির ধাক্কায় আমেনা বেগম গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কিন্তু তার অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে জামালপুর সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ ঘাতক ট্রলি গাড়ি ও এর চালককে আটক করতে পারেনি।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মাহবুব আলম বলেন, ‘নিহতের মরদেহ পরিবারের স্বজনরা নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে তারা থানায় কোনো অভিযোগ করেননি। দুর্ঘটনার পর চালক ট্রলি নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি।’
অপরদিকে ১৪ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে জামালপুর পৌরসভার ছনকান্দা এলাকায় জামালপুর-ময়মনসিংহ সড়কে যাত্রীবাহী একটি বাসের ধাক্কায় সাইকেল আরোহী দুই শিশু গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা হলো পৌরসভার হরিপুর গ্রামের ট্রাক শ্রমিক মাসুদ রানার তৃতীয় শ্রেণিপড়ুয়া ছেলে ছানি ইসলাম (৯) এবং একই গ্রামের অপর ট্রাক শ্রমিক মো. ডালিমের পঞ্চম শ্রেণিপড়ুয়া ছেলে পিয়াল ইসলাম (১২)। দুর্ঘটনায় তারা মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পেয়েছে। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তারা দু’জন বৈশাখী পোশাক পরে সাইকেলে করে ঘুরছিল। স্থানীয় মাছিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তারা।
এ দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে জামালপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আহত দুই শিশুকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। এ ব্যাপারে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ নিয়ে আসেনি।’