স.স.প্রতিদিন ডেস্ক ।।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বনানীর এফআর টাওয়ারে হতাহতদের উদ্ধার কাজে ঝুঁকি নিয়ে কর্মতৎপরতা চালাতে গিয়ে নিজের জীবন বিসর্জনকারী কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের ফায়ারম্যান সোহেল রানা মানবপ্রেমের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেলেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, জীবনবাজি রেখে উদ্ধারকাজে অংশ নিয়ে মৃত্যুভয়কে তাচ্ছিল্য করে অগ্নিকাণ্ডের কবল থেকে মানুষ উদ্ধারের মতো সাহসী ভূমিকার জন্য আমি মরহুম সোহেল রানাকে বিনম্রচিত্তে শ্রদ্ধা জানাই।
সোমবার দলটির সহ-দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক শোকবার্তায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুল বলেন, ‘মানুষ মানুষের জন্য’ এই নীতিবাক্যটি সবার জীবনে সোহেল রানার মতোই প্রতিফলিত হোক- এই কামনা করি। বিএনপি মানুষকে ভালোবাসা ও বিপদে-আপদে মানুষের সাহায্যের জন্য এগিয়ে যাওয়াকে গভীরভাবে বিশ্বাস করে। দোয়া করি মহান রাব্বুল আলামিন মরহুম সোহেল রানাকে বেহেস্ত নসিব করুন। আমি মরহুম সোহেল রানার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।
গত ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জন নিহত এবং ৭১ জন আহত হন। ওইদিন কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের ফায়ারম্যান সোহেল রানা উঁচু ল্যাডার (মই) দিয়ে আগুন নেভানো ও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে কাজ করছিলেন। ভবনে আটকে পড়া চার-পাঁচজনকে উদ্ধার করে একসঙ্গে নিচে নামানোর সময় ল্যাডারটি ওভারলোড দেখাচ্ছিল।
ওভারলোড হলে সাধারণত ল্যাডার নিচে নামে না, স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক হয়ে যায়। তাই ল্যাডারের ওজন কমাতে সোহেল নিজেই ল্যাডার বেয়ে নিচে নামছিলেন। ল্যাডারের ওজন কমায় সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যায়। এতে তার একটি পা ল্যাডারের ভেতরে ঢুকে যায়। এছাড়া তার শরীরের সেফটি বেল্টটি ল্যাডারে আটকে পেটে প্রচণ্ড চাপ লাগে। এরপর থেকেই সংজ্ঞাহীন সোহেল।
সেখান থেকে উদ্ধার করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার চিকিৎসা চলে। তাকে প্রতিদিন চার ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। গত ৫ এপ্রিল তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়।
3/related/default