জামালপুরে হিন্দু নারীকে গাছে বেঁধে লাঞ্ছিত করে জমি দখল

Joynal Abdin
0
নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
জামালপুর সদরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক হিন্দু নারীকে গাছের সাথে বেঁধে এবং অপর নারী শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি প্রকাশ পায়। জামালপুর সদরের কেন্দুয়া কালিবাড়ির খামারপাড়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক সুমন দেবনাথ অভিযোগ করেন, জমি নিয়ে বিরোধ চলছে স্থানীয় মোকছেদ আলীর পুত্র প্রভাবশালী সুলতান মাহমুদ ফকিরের সাথে। সুমন দেবনাথের সাথে ১৫ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ থাকলেও গত ১৮ এপ্রিল বুধবার বিরোধপূর্ণ জমিসহ সাথে থাকা আরো ১৬ শতাংশ জমি জবরদখল করে। বেদখলীয় জমিতে রাতারাতি পানের বরজ তৈরি করে সুলতান মাহমুদ ফকির। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় সুমন দেবনাথের মা ৫৮ বছর বয়সী প্রতিভা দেবনাথকে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। এসময় প্রতিভা দেবনাথের নাতনী স্কুল শিক্ষিকা সুবর্ণা দেবনাথকে লাঞ্ছিত করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় সুমন দেবনাথের মা ৫৮ বছর বয়সী প্রতিভা দেবনাথকে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। এসময় প্রতিভা দেবনাথের নাতনী স্কুল শিক্ষিকা সুবর্ণা দেবনাথকে লাঞ্ছিত করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে। নির্যাতিতা প্রতিভা দেবনাথ জানান, ‘সুলতান ফকির আমাকে গাছের সাথে বেঁধে রেখে ১৬ শতাংশ জমিতে ঘর তুলেছে। চোখের সামনে আমার নাতনী সুর্বনাকে মারধর করেছে। আমি নির্যাতনকারী ভুমিদস্যু সুলতার ফকিরের বিচার চাই।’ নির্যাতনের ঘটনায় সদর উপজেলার নারায়ণপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সাধারণ ডায়েরি এবং পরদিন সদর থানায় সুলতান মাহমুদ ফকিরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নির্যাতিত পরিবার। গত ১৯ এপ্রিল পুলিশ মামলার আসামি নজরুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। রোববার মামলার আসামিরা আদালত থেকে জামিন নিয়েছে। জামিনে যাওয়া আসামিরা সংখ্যালঘু এই পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। প্রভাবশালী সুলতান মাহমুদ ফকির নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিজের ক্রয় করা জমি তিনি দখলে নিয়েছেন। জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সালেমুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে। তিনি শুনেছেন গত রোববার আসামিরা আদালত থেকে জামিন নিয়েছে। এদিকে সংখ্যালঘু পরিবারের হিন্দু নারীকে গাছের সাথে বেঁধে এবং স্কুল শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিতকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Ok, Go it!