ইসলামপুর প্রতিনিধি ।।
বাড়ছে অটোরিকশা সঙ্গে বাড়ছে যানজট ও বিদ্যুৎ বিভ্রাট। অটোরিকশা চালাতে ব্যবহার হয় বিদ্যুৎ। এর ফলে অনুমোদন না থাকলেও বিদ্যুৎতের সিংহভাগ ব্যবহার হওয়ায় লোডশেডিংয়ে কবলে পড়ছে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলারবাসী। এছাড়াও প্রতিনিয়ত যানজট বৃদ্ধির পাশাপাশি ঘটছে নানা দুর্ঘটনা।
উপজেলার ইসলামপুর-জামালপুর রোডসহ বিভিন্নখানে অসংখ্য অটোরিকশা চলার কারণে প্রতিনিয়তই যানজট সৃষ্টির পাশাপাশি ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। সড়কে বেপরোয়া চলাচলের কারণে এরমধ্যেই দুইজন পথচারির মৃত্যু হয়েছে।
তথ্য সূত্র অনুযায়ী, এ উপজেলায় প্রায় ৪০টি পয়েন্টে ১৩ শতাধিক অটোরিকশা চলাচল করছে। এসব অটোরিকশার ব্যাটারি চার্জ করতে অধিক বিদ্যুৎ খরচ হয়। ফলে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ছে। অধিকাংশ চোরাই লাইনের মাধ্যমে ব্যাটারি চার্জ করায় একদিকে যেমন বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে।
অপরদিকে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকারের পিডিবি ও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি।
অপরদিকে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকারের পিডিবি ও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি।
যেখানে সরকার বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দিতে বদ্ধ পরিকর। সেখানে দুষ্কৃতিকারীরা চোরাই লাইনের মাধ্যমে এসব অটোরিকশার ব্যাটারি চার্জ করতেই ব্যস্ত। এতে করে বিদ্যুতের প্রচুর ঘাটতিসহ অসহনীয় লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ক্রয়মূল্য কম থাকায় অধিকাংশ রিকশা-ভ্যান চালকরাই এসব অটোরিকশা কিনে চালাচ্ছেন।
ট্রাক চালক সিদ্দিক জানান, অটোরিকশার কারণে বড় বাজার পার হতে অনেক সময় লেগে যায়। শুধুমাত্র অটোরিকশার কারণে রিকশা-ভ্যান চালকরা যেখানে আগে ৪শ’ থেকে ৪শ’ পঞ্চাশ টাকা প্রতিদিন আয় করতো সেখানে তারা এখন ২শ’ থেকে ২শ’ পঞ্চাশ টাকা আয় করতে অনেক হিমশিম খাচ্ছেন। কোনো প্রকার অনুমোদন-বাধ্যবাধকতা না থাকায় এখন যে কেউ অটোরিকশা চালাতে পারছেন। ফলে বালক থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত এখন ঝুঁকে পড়েছে অটোরিকশার দিকে।
অটোরিকশা চালক দুলাল মিয়া জানান, আগে এই এলাকায় অটোরিকশা কম ছিল। রাস্তায় তেমন যানজট ছিলনা। প্রতিদিন অনেক টাকা রোজগার হতো। এখন প্রতিটি মোড়ে মোড়ে যানজটে আমাদের রোজগার কমে গেছে। সচেতন মহল অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ করে যানজট নিরসন ও বিদ্যুৎ অপচয় রোধে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
কলেজছাত্রী মাসুমা জাহান মিলি জানান, ইজিবাইকের কারণে কলেজে যেতেও অনেক সময় লেগে যায়। আমাদের ছোট্ট এ শহরে আয়তনের তুলনায় অধিক ইজিবাইক হওয়ায় প্রতিনিয়ত পথচলতেও সমস্যা হয়।
পৌর মেয়র আ. কাদের শেক জানান, দিন দিন বাড়ছে অটোরিকশা। কিন্তু সে তুলনায় আমাদের শহরের আয়তন তো দিন দিন বাড়ছে না। এরমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। শহরের রাস্তার দুই পাশে অস্থায়ী দোকানগুলো তুলে দিলে হয়ত কিছুটা যানজট লাঘব হবে। আর শহরের বাইরে কয়েকটি পয়েন্টে ষ্ট্যান্ড করার পরিকল্পনা রয়েছে এতে করে কিছুটা হলেও যানজট মুক্ত হওয়াসহ পথচারিদের চলাচলে সুবিধা হবে।
ইউএনও মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, অটোরিকশা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিটি ক্ষেত্রে যানজট, বিদ্যুৎ অপচয়, দুর্ঘটনাসহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পাশাপাশি রাতের বেলায় অটো, সিএজিগুলোতে অতিরিক্ত চার্জার লাইট লাগানোর ফলে রাস্তায় চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে। এরমধ্যে হ্যালোজেন লাইট নিস্ক্রিয় করতে একাধিক বার অভিযান চালানো হয়েছে। চলমান অভিযানে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
ইউএনও মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, অটোরিকশা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিটি ক্ষেত্রে যানজট, বিদ্যুৎ অপচয়, দুর্ঘটনাসহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পাশাপাশি রাতের বেলায় অটো, সিএজিগুলোতে অতিরিক্ত চার্জার লাইট লাগানোর ফলে রাস্তায় চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে। এরমধ্যে হ্যালোজেন লাইট নিস্ক্রিয় করতে একাধিক বার অভিযান চালানো হয়েছে। চলমান অভিযানে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।