অনলাইন ডেস্ক ॥
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এলাকায় বিশাল আকারের একটি গরু তৈরি করেছেন মাহনি আলী। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওই তরতাজা বিশাল গরুটি বিক্রি করতে চান। গরুর ওজন প্রায় ২০ মণ। দাম ২০ লাখ টাকা দাবী করেছেন তিনি বলেন, আলোচনা সাপেক্ষে গরুটি বিক্রি করতে চাই। ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এলাকার ওহাব আলীর ছেলে শাহীন আলী গরুটি ৩ বছর ধরে লালন পালন করে আসছে।
শাহীন আলী জানান, ৩ বছর আগে গরুটি কেনা। অল্প অল্প করে টাকা বিনিয়োগ করে কোনো রকম কীটনাশক বা ক্ষতিকর কিছু ছাড়াই শুধু ঘাস, গমের ছাল ও বিচিলি খাওয়ায়ে পারিবারিক আদলে গরুটিকে মোটাতাজা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে গত কোরবানির ঈদে সঠিক দাম না পাওয়ায় বিক্রি করতে পারেনি গরুটি। এবারো এমন অবস্থা, তাই গরুটি বাজারে নিতে পারবেন কি না, বাজারে নিলেও ক্রেতা মিলবে কিনা, ক্রেতা মিললেও দাম পাওয়া যাবে কিনা এসব বিষয় নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে তিনি।
শাহিন আলী বলেন, গত তিনবছর ধরে গরুটি আমি ও আমার পরিবারের সবাই সন্তানের মতো করে লালন পালন করেছি। বাড়ী থেকে অথবা অনলাইনের মাধ্যমে গরুটি বিক্রি করতে চান তিনি। গতবছর ৭ লাখ টাকা দাম হয়েছিল গরুটির। এবছর গরুটি ২০ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চান তিনি। এই গরু দেখার জন্য প্রতিদিন দলে দলে লোক-জন বাড়ির সামনে ভিড় করছেন।
ভেড়ামারা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা একেএম ফজলুল হক বলেন, কোন রকম কীটনাশক বা ক্ষতিকর কিছু ছাড়াই মাঠের ঘাস ও স্বাভাবিক খাবার খাওয়ায়ে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে খামারীরা গরু লালন পালন করেন। সে কারনেই ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গরুর চাহিদা ব্যাপক।